করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৭ টায় ৭৩ হাজার ৫০০ ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করা না গেলে প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে।
আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি কাউন্সিল ও স্থানীয় পরিষদ এবং পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণও চলছে। সকাল ৭টা থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের বিপুল উপস্থিত দেখা যায়। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ জাতির ভাগ্য নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেউ যেন একথা না ভাবে আমার একটি ভোটের কি মূল্য আছে?
তিনি আরো বলেন, দেশের আগামী চার বছরের ভাগ্য আজ জনগণের হাতে নির্ধারিত হবে। কাজেই তারা যেন তাদের এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে ভুল না করে। সর্বোচ্চ নেতা আজকের দিনকে ‘ইরানি জনগণের দিন’ আখ্যায়িত করেন বলেন, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির প্রথম সুফল পাবে এদেশের জনগণ; সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইরানে মর্যাদা সমুন্নত হবে।
এবারের নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি, মোহসেন রেজায়ি, আব্দুন নাসের হেম্মাতি এবং কাজিযাদে হাশেমি।এর আগে অন্যতম প্রার্থী মেহের আলীজাদে অপর সংস্কারপন্থী প্রার্থী আব্দুন নাসের হেম্মাতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান এবং অন্য দুই প্রার্থী আলীরেজা যাকানি ও সাঈদ জালিলি নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়ে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন।
বিশ্বের ২২৬টি গণমাধ্যমের প্রায় ৫০০ সাংবাদিক ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর কভার করার জন্য ইরানে এসেছেন।
বিশ্বের ১০১টি দেশে অবস্থানরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকরাও তাদের প্রেসিডেন্টকে বেছে নেয়ার জন্য ভোট দিচ্ছেন। ওইসব দেশে ভোটগ্রহণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৪৫০টি কেন্দ্র।
ইরানের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী- কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেয়া হবে।#