শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত সাতজন নিহত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। উত্তাল পরিস্থিতি শান্ত করতে হাজার হাজার সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এরইমধ্যে গণ-বিক্ষোভের মুখে দেশটির সাত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে একজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি পরিবার নিয়ে বর্তমানে দেশের একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে পদত্যাগের পরও দেশটিতে ক্ষোভ ও সহিংসতা অব্যাহত ছিল। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এর আওতায় সেনাবাহিনী যেকোনো ব্যক্তিকে বিনা ওয়ারেন্টে ২৪ ঘণ্টার জন্য আটক করতে পারবে। এছাড়া, যেকোনো ব্যক্তির ঘরবাড়ি বা ব্যক্তি মালিকানাধী প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালাতে পারবে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এত বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে নি শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্য ওষুধ, ও জরুরি পণ্যের প্রচণ্ড ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এ নিয়ে জনগণের বিরাট অংশ বিক্ষোভ শুরু করে। তারই জের ধরে সরকার পদত্যাগ করেছে।
গতকাল রাজপাকসে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানালে তার দলের সমর্থকরা রড নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। পরে বিক্ষোভকারীরা।#