ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আজ ৩টি লোকসভা ও ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাঞ্জাবে ১টি ও উত্তর প্রদেশে দু’টি লোকসভা আসনে এবং ত্রিপুরায় ৪টি, অন্ধ্র প্রদেশে ১টি, ঝাড়খন্ডে ১টি এবং দিল্লিতে ১টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে এ সব রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ফল ঘোষণা হবে ২৬ জুন।
আজ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় বিক্ষিপ্ত গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে আগরতলা, বরদৌয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আজ বিজেপিকে টার্গেট করে বলেছেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে বিজেপি। তিনি একে গণতন্ত্রের লজ্জা ও কলঙ্ক বলে অভিহিত করে বলেন, ‘বিজেপি নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ইস্তফা দিয়ে অবিলম্বে গোটা রাজ্যে নতুন করে মানুষের রায় নেওয়া।’ গতকাল ও গত পরশু আমাদের প্রার্থীর উপরে হামলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে বলেও তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন।
আজ তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমশূদ্র বলেন, ‘২৪ নম্বর বুথ থেকে শুরু করে সুরমা বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় রিগিং হচ্ছে। পুলিশরা ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একজন ‘নমশূদ্র বেটা’কে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলো, এটা একটা নিন্দনীয় ঘটনা! আমি ভারতের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অতি সত্ত্বর ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন দেওয়া হোক। নইলে গণতন্ত্র রক্ষা হবে না। পুলিশ প্রশাসন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। মহকুমা কর্মকর্তা সব্যসাচী বাবু থাকা সত্ত্বেও আমাদের উপরে আক্রমণ হয়েছে। উনি নিরাপত্তা দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। এরপরেও আমি আক্রান্ত হই। এ সবের একটা সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছি।’
বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। কোনওক্রমে পালিয়ে রক্ষা পান সুরমা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। গতকাল (বুধবার) দিবাগত রাত ১১টা নাগাদ তৃণমূল নেতা দীপক দাসের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেও বাড়ি ঘিরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। প্রার্থীর ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়নকে মদত দিচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকারের মদতপুষ্ট হার্মাদবাহিনী হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। আমাদের দলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আজ উত্তর প্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা আসনে এবং পাঞ্জাবের সাংরুর লোকসভা আসনে উপনির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গত মাসে সারা দেশে তিনটি লোকসভা আসন এবং সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এ সব আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ২৬ জুন।#