বাংলাদেশের সিলেট- সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। আজ শুক্রবার সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিখোঁজ হওয়া বিএনপির নেতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের খিলগাঁওস্থ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন দাবি জানান।
২০১০সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরারোড এলাকা থেকে কাউন্সিলর চৌধুরী আলমকে সরকারের নির্যাতনকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এক যুগ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ সরকার তাঁর খোঁজ দিতে পারে নি। শুধু চৌধুরী আলমই নয়, ইলিয়াস আলীসহ কেবল বিএনপির ছয় শতাধিক নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাদের ১৫ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশের কত মানুষ সন্তানহারা হয়েছেন, কতজন স্বামীহারা হয়েছেন, তার সঠিক কোনো হিসাব আমরা উপস্থাপন করতে পারছি না। শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য এই গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা করা—এটা কোনো সভ্য সমাজ-রাষ্ট্রে হতে পারে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শুধু গুমের ব্যাপার নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে এই সরকারকে ‘জনগণের শত্রু’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে।
বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও, প্রধানমন্ত্রী গুটিকয়েক মানুষকে ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন। ফখরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশের মানুষ যখন দুর্যোগে হাহাকার করছে তখন দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে।
তিনি বলেন, মানুষ না খেয়ে আছে। সিলেটের ৩০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য সরকার মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে শত কোটি টাকা খরচ করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘আপনারা দেখেছেন যে, দেশে একটা ভয়াবহ বন্যা চলছে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে। আমি নিজে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সিলেটে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে না দেখলে এর ভয়াবহতা সস্পর্কে কোনো ধারণা করা যায় না। মানুষ যে কষ্টে আছে এবং তাদের কাছে যে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, তাদের বাঁচার ব্যবস্থা করে দেওয়া, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া- তার কোনো ব্যবস্থা সরকার করে নাই।’