ভারতের উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে দেড়শো শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভয়াবহ ওই বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সন্ধ্যায় ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বিশেষ বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
আজ (রোববার) সকালে জোশীমঠের কাছে তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার পানিরস্তর প্রবলভাবে বেড়ে গিয়ে বিপর্যয় ঘটে। ওই ঘটনায় ফাটল দেখা দিয়েছে ধৌলিগঙ্গা নদীর উপরে থাকা বাঁধে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে গেছে। পানিরস্তর বেড়েছে ধৌলিগঙ্গা নদীতে। ঋষিগঙ্গা পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নিখোঁজ শ্রমিকরা তপোবন পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এঁদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ বলেন, আটকে পড়া পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় প্রকাশ, বাঁধ ভাঙা পানি নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতোমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।#