ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর জীবনের প্রথম ৪০ বছরের স্মৃতিকথা নিয়ে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বই ‘ইন্না মায়াস সাবরু নাসরা’ সম্প্রতি আরো কয়েকটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামি বিপ্লবের আগে অত্যাচারী শাহ সরকারের হাতে নির্যাতিত ও নির্বাসিত জীবনের স্মৃতিকথা নিয়ে বইটি প্রথম আরবি ভাষায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে প্রকাশিত হয়।
এরপর ২০১৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে বইটির ফার্সি অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
বাংলা, তুর্কি, অযারি ও স্প্যানিশ ভাষায় বইটির প্রকাশ উপলক্ষে সম্প্রতি ইসলামি বিপ্লবী সাংস্কৃতিক গবেষণা সংস্থা [হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর (মুদ্দাজিল্লাহুল আলা) লেখা প্রকাশ ও সংরক্ষণ বিষয়ক দপ্তর] একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে যুক্ত হন হুজ্জাতুল ইসলাম মিরসালাম, ও সাইয়্যেদ কুমাইল বাকেরজাদে।
তুরস্ক থেকে যুক্ত হন বইটির অনুবাদক আইকুত তাজারবাশি এবং এটির প্রকাশনা সংস্থার প্রধান ‘উনদার’। লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে বইটির আরবি প্রকাশক মোহাম্মাদ কাউসারানিও ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ওয়েবিনারে যুক্ত হয়েছিলেন বইটির অনুবাদক মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম বালী, সম্পাদক ড. এম আব্দুল কুদ্দুস বাদশা এবং প্রকাশক ও ইরান সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাউন্সিলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত।
স্প্যানিশ ভাষায় বইটির প্রকাশনা উপলক্ষে মাদ্রিদ থেকে ওয়েবিনারে যুক্ত হন হুজ্জাতুল ইসলাম নাজি।
এতে বক্তারা নিজ নিজ ভাষায় বইটির অনুবাদ, সম্পাদনা ও প্রকাশ সম্পর্কে তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার লেখা বইটির বাংলা সংস্করণের শুরুতে শুরুতে বলা হয়েছে, “বিগত শতাব্দীর শেষার্ধে এসে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে আরও একবার তরবারির উপর রক্তের বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয় ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের মাধ্যমে। … বিপ্লবী আন্দোলনের রক্তঝরা উত্তপ্ত দিনগুলোতে একেবারে মাঠে ময়দানে কি ঘটে চলেছিল, কি কোরবানী আর আত্মত্যাগের রক্ত ঢেলে বিপ্লবের চারাগাছকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল, আর অবশেষে তা কুড়ি ও মঞ্জুরিতে পূর্ণ হয়ে উঠল- এমন অনেক না জানা কথা বর্ণিত হয়েছে ‘হৃদয়ের যে রক্ত হলো চুনিরত্ন’ গ্রন্থে। ”#