রাশিয়া এবং চীন তাদের পাঁচ দিনব্যাপী বিশাল যৌথ সামরিক মহড়া গতকাল (শুক্রবার) শেষ করেছে। মহড়ায় দুই দেশের ১০ হাজারের ওবেশি সেনা অংশ নেয় এবং বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়।
পূর্ব ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা ও তার মিত্ররা যখন সামরিক উসকানিমূলক তৎপরতা বাড়িয়েছে তখন চীন এবং রাশিয়া এই যৌথ মহড়া চালালো। মহড়ার শেষ দিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
গতকাল মহড়ার শেষ দিনে তাজা গোলা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি অভিযানের অনুশীলনে চীনের অত্যাধুনিক জে-২০ জঙ্গীবিমান এবং জেএইচ-৭ বোমারু বিমান অংশ নেয়। এসব বিমান কল্পিত শত্রুর কমান্ড সেন্টার ও প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষণ টাওয়ারগুলোতে হামলা চালায়।
পাঁচদিনের এ মহড়ায় রাশিয়া এবং চীনের সেনারা প্রথমবারের মতো বিশেষভাবে নকশাকৃত যৌথ কমান্ড সিস্টেম ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা টেলিকনফারেন্স করতে সক্ষম হন। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় এই অভিজ্ঞতা যুদ্ধ-সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মহড়ায় রাশিয়ার সেনারা প্রথমবারের মতো চীনা অস্ত্র ব্যবহার করেন।
যৌথ মহড়ার প্রশংসা করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, এ মহড়া মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করবে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি করে চীনের বহুল প্রচারিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বলেছে, “দু দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মিত্রদের চেয়েও বেশি কিছু”। চীনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো বলেছে, রাশিয়া এবং চীন যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ-সহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও মার্কিন সৃষ্ট আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম।#