ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ (বৃহস্পতিবার) কারবালার মর্মস্পর্শী ঘটনার স্মরণে শোকাবহ আশুরা পালিত হয়েছে। ইরানের সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় শোকানুষ্ঠান। সড়কের পাশে ও খোলা স্থানে সমবেত মানুষের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কারবালার ঘটনা উপস্থাপন করা হয়। কারবালার বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করতে করতে বর্ণনাকারী যেমন কাঁদছেন তেমনি উপস্থিত জনতাও কান্না করেন ও বুক চাপড়ান।
ইরানের গোটা জাতিই আজ শোকাচ্ছন্ন। আশুরা উপলক্ষে ইরানে দুই দিন সরকারি ছুটি থাকে। করোনা মহামারির কারণে এবার সীমিত আকারে শোকানুষ্ঠান পালিত হয়।
প্রায় চৌদ্দশ’ বছর আগের আজকের দিনে ইরাকের কারবালায় বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স.)'র প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (আ.) ও তার ৭২ জন সঙ্গী-সাথী সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সংগ্রামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
অন্যায়ের কাছে মাথানত না করার কারণেই সেদিন ইমাম হোসেন (আ.) পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। এ কারণে ১০ মহররম বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বেদনাবিধুর দিন।
এ ঘটনা শুধু ইসলামের ইতিহাসেরই করুণ ঘটনা নয়, বিশ্ব ইতিহাসেরও সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। সত্য ও ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগের মহিমায় গৌরবান্বিত আশুরা আজও মুসলিম হৃদয়ে সংগ্রাম ও ত্যাগের গতি সঞ্চার করে। ইরাকের কারবালায় ইমাম হোসেন (আ.)’র মাজার অবস্থিত।#