দীর্ঘ অবরোধ প্রত্যাহারের পর প্রথমবারের মতো কাতার সফরে পৌঁছেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। কাতারে পৌঁছার পর তাকে স্বাগত জানান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি।
চলতি মাসের শেষ দিকে সৌদি আরবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তার আগে বিন সালমান উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করছেন। তৃতীয় দেশ হিসেবে তিনি গতকাল (বুধবার) কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছান। এর আগে বুধবার রাতে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়।
আল জাজিরা বলছে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও সমর্থন দেয়ার অভিযোগ কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর অবরোধ আরোপ করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। অবশেষে গত জানুয়ারিতে কাতারের ওপর থেকে সেই অবরোধ তুলে নেয় সৌদি আরব।
কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ প্রত্যাহারের পর এটিই সৌদি আরবে প্রথম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এর আগে কাতারের সাথে বিরোধের সমাপ্তি ঘটে। এতে একমত হয় বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে তার আগে কাতারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে সৌদি আরব, আমিরাত ও বাহরাইন। এসব দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া এবং তুরস্কের একটি ছোট কন্টিনজেন্টকে বহিষ্কার করা। কিন্তু তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে কাতার। অবশেষে গত জানুয়ারিতে চার আরব দেশ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়। সৌদি আরব নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলেও আবুধাবি ও মানামা তা করে নি। অন্যদিকে সৌদি আরব, আমিরাত এবং মিশরের সাথে এরইমধ্যে বাণিজ্য ও ভ্রমণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে কাতার। তবে বাহরাইনের সঙ্গে এখনো এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে নি।
এদিকে, কঠোর অবরোধের পর সৌদি যুবরাজের কাতার সফর নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, যুবরাজ বিন সালমানের নির্দেশ ও সিদ্ধান্তে কাতার মারাত্মক অবরোধের মুখে পড়ে। তিনি আবার এখন দোহা সফর করছেন। কাতার সরকার কূটনৈতিক শিষ্টাচারের আওতায় এই সফরের অংশ হলেও অবরোধ আরোপের সময় কোনো রকমের মানবিক দিক ও শিষ্টাচার মানে নি সৌদি আরব ও তার মিত্ররা। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সবারই অভিমত- এই সফরের মাধ্যমে কাতার ও সৌদি আরবের সম্পর্ক বাড়বে। কিন্তু বাহরাইনের ভূমিকা অগ্রহণযোগ্য।#