ইরানের প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানালেন ওমানের সুলতান। রাজধানী মাস্কাটের আল-আলম প্রাসাদে ওই অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়।
প্রেসিডেন্টের বার্তা বিভাগ জানিয়েছে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি আনুষ্ঠানিক সফরে আজ ওমান গেছেন। ওমানের সুলতান হিশাম বিন তারেক আল সায়িদ আল-আলম প্রাসাদে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান।
বিশেষ আসনে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং ওমানের সুলতান বসেন এবং তাঁদের সম্মানে দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তারপর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারস্পরিক পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
মাস্কাট সফরে রায়িসি বলেন: ইরান এবং ওমান পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, জ্বালানি এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এই সফরে বহু ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট রায়িসি। ওমানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রচেষ্টার কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন: আঞ্চলিক দেশগুলির মধ্যে সংলাপ এবং সহযোগিতা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে। বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতি কোনোভাবেই আঞ্চলিক নিরাপত্তা তৈরি তো করবেই না বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে।
গত কয়েক দশক ধরে ইরান-ওমানের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। আমেরিকার ইরান-ভীতি প্রচারণার ব্যাপক প্রচেষ্টাসহ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা সত্ত্বেও দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্কে মর্যাদা ও সম্মানের ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
ওমানের কর্মকর্তাগণ ইরানকে তাদের বৃহৎ প্রতিবেশি এবং ঘনিষ্ট মিত্র মনে করে। দু'দেশের মধ্যে সীমান্ত কিংবা ভূখণ্ড নিয়ে কোনোরকম দ্বন্দ্ব নেই। ওমানের প্রতি ইরানের সমর্থন ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক।#