ইরানের মাশহাদ শহরে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য হযরত ইমাম রেজা (আ)'র পবিত্র মাজার অবস্থিত। সেখানেই একদল ইরানি ক্বারী মহান আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ অর্থাৎ আসমাউল হুসনা পাঠ করেন।
মহান আল্লাহর নামগুলো ত্রুটিহীন ও পুরোপুরি বাস্তব এবং পরিপূর্ণ অর্থবোধক। যেমন, মহান আল্লাহ হচ্ছেন আলিম বা সর্বজ্ঞানী তথা সব কিছুই জানেন। মহান আল্লাহ কখনও বিন্দুমাত্র অজ্ঞতা ধারণ করেননি এবং জ্ঞানের বিন্দু পরিমাণও তিনি ভুলবেন না। যে কোনো বিষয়ে জ্ঞানের খুঁটিনাটি, বিস্তারিত ও সামগ্রিক সবই জানেন মহান আল্লাহ। সুরা আনআ’মের ৫৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন: তাঁর কাছেই রয়েছে অদৃশ্য জগতের চাবি। এ গুলো তিনি ছাড়া কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, সবই তিনি জানেন। গাছের কোনো পাতাও ঝরে না তাঁর অগোচরে। কোন শস্য-কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুষ্ক দ্রব্য পতিত হয় না তাঁর অগোচরে; এসবই তাঁর স্পষ্ট বা প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।
মহান আল্লাহর একেকটি নাম ধারণ করছে তাঁর পরিচিতি সংক্রান্ত অশেষ জ্ঞানের প্রবাহ। মহান আল্লাহর সুন্দর নামগুলোর অর্থের অতল গভীরতা পুরোপুরি উপলব্ধি করা কল্পনাতীত। তবুও এই অসীম জ্ঞান-সিন্ধুর বিন্দু বিন্দু জ্ঞানও আমাদের হৃদয়গুলোকে উজ্জ্বল এবং জীবনে বিপ্লব বয়ে আনার জন্য যথেষ্ট।
মহান আল্লাহকে জানার ও চেনার ইচ্ছা মানুষের প্রকৃতিগত স্বভাব। প্রখ্যাত আলেম ও মুহাদ্দিসরা পবিত্র কুরআনের আয়াত ছাড়াও মহানবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের বাণীর আলোকে এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি, বিশ্লেষণ ও গবেষণা করেছেন। যেমন, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সুরা আরাফ-এর ১৮০ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘ আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক।’ সুরা আসরা'র ১১০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, হে নবী আপনি বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর বা সেরা নাম তাঁরই।
–তাই আসুন আমরা সবাই মহান আল্লাহর পবিত্র নামগুলোর অর্থ ও ব্যাখ্যা জানার মাধ্যমে মহান আল্লাহকে আরও ভালোভাবে চেনার, ডাকার এবং মান্য করার ও তাঁর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করি।#