ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১১টায় কোলকাতার রাজভবনে শপথ নেন তিনি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ পাঠ করান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সকাল সোয়া দশটার দিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে কলকাতায় নিজের কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা। সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজভবনে পৌঁছে যান। সেখানেই মমতাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা জানান, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে করোনা মোকাবিলার উপর সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন। তারপরই অগ্রাধিকার পাবে ভোট-পরবর্তী ‘বিক্ষিপ্ত’ হিংসার ঘটনা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা।
সকল রাজনৈতিক দলের কাছে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সংহতি বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলা কিন্তু অশান্তি পছন্দ করে না। আমি নিজেও করি না। আমি সবাইকে উপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি, যাতে কোনও হিংসা না হয়। কোথাও কোথাও নির্বাচনের পর বিক্ষিপ্ত ঘটনা হয়। আমি আজ থেকে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিচ্ছি।’ সেইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন, অশান্তি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মমতার বক্তব্য শেষে রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, ‘আমি আশা করছি যে সংবিধান এবং আইন মেনে প্রশাসন কাজ করবে। ভারতে দুর্দান্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে।’ সেইসঙ্গে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা গভীর সংকটে আছি। আমি দেশের ভিতর এবং বাইরে থেকে খবর পাচ্ছি যে মানুষ উদ্বিগ্ন আছেন। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। আমি তাঁকে জানানোর পর তিনি পদক্ষেপ করেছেন।’
সেখানেই অবশ্য থামেননি রাজ্যপাল। জানান, তাঁর বিশ্বাস যে রাজ্যে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন মমতা। হিংসার ঘটনায় যাঁরা আহত (বিশেষত শিশু এবং নারী) হয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করারও কথা বলেন।