ইব্রাহিম রায়িসি বিচার বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুর্নীতি দমনে মনোনিবেশ করেন। সর্বত্র ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো উপড়ে ফেলার কাজ শুরু করেন এবং অনেক দূর এগোতে সক্ষম হন। এই পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। এ কারণে তাকে অনেক প্রভাবশালীর রোষানলে পড়তে হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই কঠোর অবস্থানই তাঁকে সারা দেশে আপামর জনগণের কাছে প্রিয়পাত্র করে তুলেছে।
ইব্রাহিম রায়িসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হয়েছেন মাত্র দুই বছর আগে। এর আগে ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। টানা ১০ বছর বিচার বিভাগের উপপ্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় নিরীক্ষণ দপ্তরের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদ বা অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টেরও সদস্য। দুই মেয়াদে এই পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পরিষদের ভাইস-প্রেসিডেন্টও তিনি। রায়িসি সরাসরি বিচারকাজও পরিচালনা করেছেন।
সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ২৩ বছর বয়সে ইরানের বিখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ আলামুল হুদার বড় মেয়ে জামিলা আলামুল হুদাকে বিয়ে করেন। রায়িসির সহধর্মিনী ড. জামিলা আলামুল হুদা বর্তমানে ইরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের রয়েছে দুই সন্তান। দুই মেয়েই বিয়ে করেছেন। বড় মেয়ে সমাজ বিজ্ঞান এবং কুরআন ও হাদিস বিজ্ঞান-এই দুই বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। ছোট মেয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।#