পশ্চিম ইউরোপে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের বন্যায় জার্মানিতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৩ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে এক হাজার তিনশ' জনের বেশি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়।
বেলজিয়ামে বন্যায় প্রাণ গেছে ১২ জনের। লুক্সেমবুর্গ ও নেদারল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে জার্মানির বন্যা পরিস্থিতিই সবচেয়ে ভয়াবহ। জার্মানির আবহাওয়াবিদেরা বিভিন্ন এলাকায় আরও ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছেন। সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সারা দিন ও বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে রাইন ও মোজেল নদীর শাখা পাহাড়ি নদীগুলোর দুই কূল উপচে যায়। খরস্রোতা নদীর পানি ছোট ছোট শহরগুলোতে ঢুকে পড়ে। বাসিন্দারা কিছু বোঝার আগেই নদীগুলোর পানি রাস্তা ও ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে।
কোলন শহরের পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্যাপীড়িত এলাকায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ও বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়াই আহরওয়াইলার আইফেল শহরে বেশ কয়েকটি পুরোনো স্থাপত্য ধসে পড়েছে। বেশ কিছু লোক এখনো নিখোঁজ। নর্থ রাইন ওয়েস্টপেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট প্রদেশে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে লেবারকুসন নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কোবলেঞ্ছ শহরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহরওয়াইলার পুরো জেলা ঝড়ের কবলে পড়েছিল। সেখানে প্রায় ৫০ জন লোক ছাদে আশ্রয় নিলে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। সর্বত্র আবর্জনা জমে রয়েছে বলে এই মুখপাত্র জানিয়েছেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল চলমান বন্যাকে বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন।#