ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শত্রুরা ভেবেছিল এদেশের সন্ত্রাসবিরোধী সর্বোচ্চ কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করার মাধ্যমে তারা ইরানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে। কিন্তু ইরানি জনগণ তাদের ধর্মীয় উদ্দীপনা দিয়ে সোলাইমানির শাহাদাতকে সুযোগে পরিণত করেছে।
সর্বোচ্চ নেতা সাবেক মার্কিন সমর্থিত স্বৈরশাসক রেজা শাহ পাভলাভির বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সালের গণজাগরণের বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (রোববার) এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের চার দশক পর এখনো আমেরিকা তেহরানের ব্যাপারে ভুল হিসাব-নিকাশ করে যাচ্ছে; যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড। তারা ভেবেছিল জেনারেল সোলাইমানিকে শহীদ করে ইরানি জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলন দমন করতে পারবে। কিন্তু আমরা দেখলাম ইরান ও ইরাকের লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে ওই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঐশী মদদ ছাড়া এত বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অকল্পনীয়।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরানের ব্যাপারে আমেরিকা একের পর এক ভুল করে যাচ্ছে এবং তাদের এ ভুল অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।
ফার্সি ১৩৫৬ সালের ১৯ দেই (১৯৭৮ সালের ৯ জানুয়ারি) ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা ইমাম খোমেনীর (রহ.) প্রতি তৎকালীন শাহ সরকারের অবমাননাকর আচরণের প্রতিবাদে কোম নগরীর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। সেদিন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অসংখ্য প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছিলেন।
১৯ দেই’র ওই গণজাগরণেকে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে ধরা হয়। কারণ, কোমে সরকারি বাহিনী যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার প্রভাবে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে এবং পাহলাভি সরকারের ক্ষমতার ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়।এজন্য অনেকে ১৯ দেই’র গণজাগরণকে চূড়ান্ত ইসলামি বিপ্লবের সূচনালগ্ন বলেও মনে করে থাকেন।#