ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) টার্গেট করে বলেছেন, বাংলার মনিষীদের ধারাবাহিকভাবে অপমান করছে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’।
তিনি আজ (বুধবার) কোলকাতায় রাজ্য তৃণমূল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলার মনিষীদের ধারাবাহিক অপমান এই ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’ করে যাচ্ছে, কোন সাহসে? কোন নৈতিকতায়? একটি নির্দিষ্ট সংগ্রহশালা সেই মনিষীর নামে সেখানে তার ছবি, তার স্মারকের উপরে একটা রাজনৈতিক দলের নেতাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার দেওয়া হয় কীভাবে? কী করে এটা সম্ভব হয়? এটা হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার আবেগ, দেশে বাংলার অবদান ইত্যাদি সবকিছুর প্রতি ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’র নেতাদের ধারাবাহিক অসম্মানের সর্বশেষ উদাহরণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। জেপি নাড্ডাকে (বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি) এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যার নামে স্মারক, যার নামে বাড়ি, সেখানে অনেক দর্শনার্থী যেতেই পারেন, কিন্তু সেখানে তার ছবির উপরে, তার স্মারকের উপরে ‘ওয়েলকাম জেপি নাড্ডা’! একি পাগল? কোন অধিকারে রাসবিহারী বসুকে অপমান করলেন জেপি নাড্ডা? কোন অধিকারে রাসবিহারী বসুকে অসম্মান করলেন ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’র নেতৃবৃন্দ? জেপি নাড্ডা, আপনি ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’র সর্বভারতীয় সভাপতি, আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির নাকি কর্মসমিতির বৈঠক চলছে, সেখান কে যাবেন, একটি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি! কিন্তু ন্যাশনাল লাইব্রেরির সংবিধানে আছে, তাদের নিয়মকানুন বলছে, সেখানে রাজনৈতিক দলের গতিবিধি, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল লাইব্রেরি একটা ‘হেরিটেজ’। সেখানে আইন ভেঙে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে যাচ্ছেন ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’র সর্বভারতীয় সভাপতি! অর্থাৎ, এরা বাংলার মনিষীদের মানে না, বাংলার মনিষীদের সম্মান করে না, বাংলার আবেগকে সম্মান করে না। এবং এ ধরণের নিয়মকানুনগুলোও তারা মানবেন না।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বুকিং পেল কীভাবে? কোনও ফাউন্ডেশনের নাম করে বুকিং করেছে, কিন্তু নেতাদের কাছে যে চিঠিগুলো গেছে, সেগুলো কর্মসমিতির বৈঠকের চিঠি। তারা জানে যে তারা অন্যায় কাজ করছে, তারা মুখ লুকিয়ে সভা করছে। তারা বেনামে বুক করেছে। তারা মুখোশ পরে বুক করেছে। জেপি নাড্ডা একটা সুস্থ সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার সমস্তরকম আচরণ আজ কোলকাতায় দাঁড়িয়ে করে গেলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’ এই দলের কোনও প্রভাব বাংলার মাটিতে নেই বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। #