ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো পরিকল্পনাকে পশ্চিমাদের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করতে গেলে তা নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি ঈদে গাদির উপলক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে বিশেষ করে ইরানি জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়া আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নেয়ামত এবং বিপ্লবী চেতনা বাস্তবায়ন করে সে নেয়ামতের শোকর আদায় করতে হবে। হাসান রুহানি সরকারের অভিজ্ঞতা পরবর্তী সরকারের কাজে আসবে জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিগত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল পশ্চিমাদের প্রতি আস্থা রাখার পরিণতি। সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে, পশ্চিমাদের প্রতি আস্থা রাখতে গেলে তার ফল ভালো হয় না। পাশ্চাত্য সব সময় ইরানের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এসেছে। তিনি বলেন, পশ্চিমারা যেখানে পেরেছে সেখানেই আমাদের ক্ষতি করেছে; আর যেখানে ক্ষতি করেনি সেখানে তারা পারেনি বলেই করেনি। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, “আপনারা যখনই কোনো কাজকে পশ্চিমাদের ওপর নির্ভরশীল করেছেন এবং তাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ বেছে নিয়েছেন তখনই ব্যর্থ হয়েছেন। আর যেখানে পাশ্চাত্যের ওপর আস্থা রাখেননি সেখানেই সফল হয়েছেন।”সর্বোচ্চ নেতা ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপ প্রসঙ্গে বলেন, “মার্কিনীরা নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলে ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে।চুক্তি ভঙ্গ করতে তাদের জুড়ি নেই এবং এ কাজ করতে তাদের হাত বিন্দুমাত্র কাঁপে না। কোনো ধরনের লোকলজ্জার ভয় না করেই তারা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে। এবার পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে যখন বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে তোমরা আবার যে এ সমঝোতা লঙ্ঘন করবে না তার প্রতিশ্রুতি দাও। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি দিতে পরিষ্কারভাবে অস্বীকার করছে।” সর্বোচ্চ নেতার ভাষণের আগে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি তার বিগত আট বছরের দায়িত্ব পালনের সময় তার সরকারকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ নেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আট বছরের রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।#